করোনা ভাইরাস সহ যে কোন কঠিন রোগ থেকে বাঁচার দোয়া
اَللّهُمَّ
إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَالْجُنُوْنِ وَالْجُذَامِ وَمِنْ سَيِّءِ
الأَسْقَامِ
অর্থঃ- হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট ধবল, উন্মাদ, কুষ্ঠরোগ এবং সকল প্রকার কঠিন ব্যাধি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (আবু দাঊদ, তিরমিজী)
اَللّهُمَّ
إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ الأَخْلاَقِ وَالأَعْمَالِ وَالأَهْوَاءِ
وَالأَدْوَاءِ
অর্থঃ- হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট দুশ্চরিত্র, অসৎ কর্ম, কুপ্রবৃত্তি এবং কঠিন রোগসমূহ থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। (তিরমিজী)
৩৪৭৪. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্লেগ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে উত্তরে তিনি বললেন, তা একটি আযাব। আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাদের প্রতি ইচ্ছা করেন তাদের উপর তা প্রেরণ করেন। আর আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর মুমিন বান্দাগণের উপর তা রহমত করে দিয়েছেন। কোন ব্যক্তি যখন প্লেগে আক্রান্ত জায়গায় সাওয়াবের আশায় ধৈর্য ধরে অবস্থান করে এবং তার অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস থাকে যে, আল্লাহ্ তাকদীরে যা লিখে রেখেছেন তাই হবে তাহলে সে একজন শহীদের সমান সওয়াব পাবে। (৫৭৩৪, ৬৬১৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২২৫)
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দেখে নিম্নোক্ত দোয়াটি পড়বে!
হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব ও হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে দেখে নিম্নোক্ত দোয়াটি বলবে; তার প্রতি ঐ বিপদ কখনো পৌঁছবে না; সে যেখানেই থাকুক না কেন। (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, মিশকাত)
উচ্চারণ–
‘আলহামদু লিল্লা-হিল্লাজি আ’-ফা-নি- মিম্মাবতালা-কা বিহি- ওয়া ফাদ্দালানি- আ’লা- কাছি-রিম মিম্মান খালাক্বা তাফদি-লা-।’
অর্থ–
সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি তোমাকে যাতে (যে বিপদে) পতিত করেছেন, তা হতে আমাকে নিরাপদ রেখেছেন এবং আমাকে তাঁর সৃষ্টির অনেক জিনিস অপেক্ষা অধিক মর্যাদা দান করেছেন।’
‘আলহামদু লিল্লা-হিল্লাজি আ’-ফা-নি- মিম্মাবতালা-কা বিহি- ওয়া ফাদ্দালানি- আ’লা- কাছি-রিম মিম্মান খালাক্বা তাফদি-লা-।’
অর্থ–
সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি তোমাকে যাতে (যে বিপদে) পতিত করেছেন, তা হতে আমাকে নিরাপদ রেখেছেন এবং আমাকে তাঁর সৃষ্টির অনেক জিনিস অপেক্ষা অধিক মর্যাদা দান করেছেন।’
এ হাদিস দ্বারা বুঝা যায়, কোনো ব্যক্তি বিপদগ্রস্ত ও সমস্যা জর্জরিত কোনো ব্যক্তিকে দেখে এ দোয়াটি পড়লে কোনো মসিবতে পড়বে না।
সতর্কতা-
আলেমগণ বলেছেন, কোনো রোগাক্রান্ত বা বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে দেখে এ দোয়া নিম্নস্বরে পড়তে হবে, যাতে বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির মনে কোনো ব্যথা না পায়।
আলেমগণ বলেছেন, কোনো রোগাক্রান্ত বা বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে দেখে এ দোয়া নিম্নস্বরে পড়তে হবে, যাতে বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির মনে কোনো ব্যথা না পায়।
আবার যে ব্যক্তি প্রকাশ্য পাপাচারিতা ও পার্থিব বিষয়ে বেশি পেরেশান। তখন এ দোয়া উচ্চঃস্বরে পড়বে, যাতে সে নিজের পাপ ও পার্থিব বিষয়ের কারণে লজ্জিত হয় এবং তা থেকে ফিরে আসে।
উচ্চঃস্বরে এ দোয়া পড়লে যদি ফেতনার আশংকা থাকে তবে নিম্ন স্বরে পড়াই ভালো।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শারীরিক, পার্থিব এবং দ্বীনি সব ধরনের বিপদ ও সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে বিশ্বনবির শিখানো দোয়া পড়ে তা থেকে মুক্তি লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
No comments